KBC তে ৫ কোটি টাকা জিতেও, তিনি আজ বেচেঁ থাকার জন্য দুধে বিক্রি করে জীবন চালান, জানুন তার এমন অবস্থা কেনো হলো....
বিহারের বাসিন্দা "সুনীল কুমার" তার ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ করেছেন যে কেবিসি সিজিন ৫-এ ৫ কোটি টাকা জেতার পরে তিনি অনেক লোকের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন।
বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন কয়েক সপ্তাহ পর 'কন বানেগা ক্রোড়পতি' দিয়ে আবার টিভিতে ফিরতে চলেছেন এবং সোনি টিভি ইতিমধ্যেই তার পচার ও জোরকদমে শুরু করেছে। যেহেতু KBC সিজন ১৫ শীঘ্রই সম্প্রচারিত হতে চলেছে, আসুন KBC ৫- এর বিজয়ী সুশীল কুমারের দুঃখজনক জীবনের গল্প নিয়ে কথা বলি৷
সুশীল কুমার, একজন বিহারের বাসিন্দা, ২০১১ সালে ৫ কোটি টাকা জিতেছিলেন৷ কিন্তু সুশীল কুমার তার অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে পারেন নি এবং তিনি তার সমস্ত অর্থ হারিয়ে ফেলেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেউলিয়া হয়ে যান৷ ২০২০ সালে, সুশীল কুমার তার করুণ কাহিনী নিয়ে ফেসবুকে একটি বার্তা পোস্ট করেছিলেন।
সুশীল কুমার তার ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ করেছেন যে কেবিসি ৫-এ ৫ কোটি টাকা জেতার পরে তিনি অনেক লোকের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। সুশীল আরও উল্লেখ করেছেন যে টাকা জেতার পরে তিনি দান্ধেন এর কাজে খুব সক্রিয় হয়েছিলেন এবং তার আশেপাশের লোকেরা তাকে কি ভাবে বোকা বানিয়েছিলেন।
সুনীল এও বলেছেন , কেবিসি-এর পরে, আমি একজন জনদরদী হয়ে উঠি, যিনি 'গোপন দান'-এর প্রতি আসক্ত ছিলেন এবং এক মাসে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ইভেন্টে যোগ দিতেন। এ কারণে অনেক সময় লোকজন আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে, যা অনুদান দেওয়ার পরেই জানতে পারি। এ কারণে আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। তিনি প্রায়ই বলতেন যে আমি সঠিক এবং ভুল মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে জানি না এবং আমি ভবিষ্যতের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। আমাদের প্রায় এটা নিয়ে ঝগড়া হতো,"।
সুশীল বলেছিলেন যে তার দেউলিয়া হওয়ার খবর বের হলে লোকেরা তাকে ইভেন্টে ডাকা বন্ধ করে দেয়। "এবং এখন, আমি কীভাবে দেউলিয়া হলাম...? গল্পটা একটু ' সিনেমার 'মত মনে হতে পাারে । একদিন আমি হাঁটছি, এমন সময় একটি ইংরেজি পত্রিকার সাংবাদিক আমাকে ডাকলেন। যখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, হঠাৎ তিনি আমাকে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করলেন যা আমাকে বিরক্ত করেছিল, তাই আমি এলোমেলোভাবে তাকে বলেছিলাম যে আমার সমস্ত টাকা শেষ হয়ে গেছে এবং আমার দুটি গরু আছে এবং আমি দুধ বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করে বেঁচে আছি।
এবং তার পরে, সেই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আমার সম্পর্কে যা আপনারা হয়তো অনেকে শুনে থাকবেন। এর পরেই, তারা সবাই নিজেদের কোণঠাসা করে ফেলল। আমাকে ইভেন্টগুলিতে আমন্ত্রণ জানানো করা বন্ধ করে দিল এবং তখনই আমার পরবর্তী কী করা উচিত তা নিয়ে ভাবতে কিছুটা সময় লেগে গেলো, "।
সুশীল তখন আরও বলেছিলেন যে তিনি কেমন অনুভব করেছিলেন "আমার ব্যবসার প্রকৃতির কারণে, আমি জামিয়া মিলিয়াতে মিডিয়া অধ্যয়নরত কয়েকজন ছেলের সংস্পর্শে এসেছি, যারা I.I.M.C- তে অধ্যয়নরত, তাদের সিনিয়র এবং আরও কয়েকজন যারা J.N.U- তে গবেষণারত ছিল। . কিছু নাট্য শিল্পীর সাথেও পরিচয় হয়। এছাড়া আমি অন্যান্য আসক্তি ছাড়াও মদ এবং ধূমপানের নেশার প্রতিও আসক্তি হয়ে পড়ি। যখনই আমি দিল্লি যেতাম তখনই সাত টি ভিন্ন দলের সাথে মদ্যপান ও ধূমপান করতাম, এবং ধিরে ধীরে তাদের কথাবার্তা আমাকে আকর্ষিত করতে থাকে, তাদের সাথে সাথে মিস্তেমিস্তে মিডিয়াকে গ্রাহ্য করাই ছেড়েদেন।
তবে সুশীল বাবু বর্তমানে একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক হিসাবে তার জীবন যাপন করছেন এবং একজন পরিবেশবিদ হিসাবে কাজও করছেন।
আসা করি আপনাদের এই মানুষটির জীবন কাহিনী পড়ে একটু হলেও শিক্ষা লাভ করতে পারলেন। ধন্যবাদ
আরো পড়ুন👇
https://www.needfeed.co.in/2023/09/wb-civic-volunteer-requirements-2023.html
0 Comments